রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
বাবুগঞ্জে চলতি পিএসসি পরীক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত তৃতীয় শ্রেণীর বিতর্কিত কর্মচারী এ.কে.এম শহিদুল ইসলামকে অবশেষে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ এবং উপজেলা শিক্ষক সমিতির লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোমবার তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুজিত হাওলাদার। শহিদুলের পরিবর্তে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মশিউল আলম খানকে পিএসসি পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) মধ্য ভূতেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার এ.কে.এম শহিদুল ইসলামকে। অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও চরমপন্থী সর্বহারা জিয়া গ্রুপে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী এবং তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী শহিদুলকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা অর্পণ করায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে বাবুগঞ্জের শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকদের চেয়ে নিম্নশ্রেণীর একজন কর্মচারীকে কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল ভয়েস অব বরিশালে সংবাদ প্রকাশিত হলে সোমবার প্রশাসনের দালালখ্যাত শহিদুলকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় শহিদুলকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হলে সেখানে নিজের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি শিক্ষকদের বহিস্কারের হুমকি দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও ছাত্রীদের দেহ তল্লাসির নামে শ্লীলতাহানি করেন বলে জানান উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান সিকদার। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তিনি ভিজিএফ, ভিজিডি, ওএমএস চাল বিতরণ কর্মসূচি ছাড়াও সরকারি ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে দুর্নীতি ও লুটপাট মেতে ওঠেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
Leave a Reply